Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বানাইল ইউনিয়নের ইতিহাস

 

বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদের মতই বানাইল ইউনিয়ন পরিষদ ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪৭ সালে জমিদার হুমায়ন খান পন্নির কবল থেকে জমিদারি প্রথা উঠে যাবার পরপরই প্রথম বর্তমান বানাইল ইউনিয়ন ২৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যানকে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এরপদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। তবে  তখনকার প্রেসিডেন্টের নাম জানা যায়নি।আনুমানিক ১৯৬৪সালে চেনি খান এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে সন্তান হিসাবে গনরায় নিয়ে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মনোনীত হন

এবং তিনিই মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে চেনি খান ২য় বার এবং ৩য় বার নির্বাচিত হয়ে বানাইল ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

বানাইল ইউনিয়নের নাম নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে, পুর্বে বানাইল ইউনিয়ন এর অধিকাংশ গ্রামেই হিন্দুদের আধিপত্য ছিল।অত্যন্ত ধনাঢ্য এবং শক্তিশালি  ছিলেন ঠাকুর পরিবার।অন্যটি ছিল কয়েকটি গ্রামে মুসলিম পরিবারের । ঠাকুর হালালীয়া গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্গ এবং শৈলজানা,কুড়ালিয়াপাড়ার যারা অন্যতম ব্যাক্ তিবর্গ তারাই প্রথম বানাইল ইউনিয়ন নামের প্রস্তাবকারী ছিলেন।তবে বেশির ভাগ ধনাঢ্য ব্যাক্তি কুড়ালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ  গড়ে তুলতে বেশি সুপারিশ করার পরিপ্রেক্ষিতে বানাইল গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন তৈরি না হয়ে কুড়ালিয়াপাড়া পরিষদ ভবনটি স্থাপিত হয়।  ঠাকুরদের  নামকরন অনুসারে ইউনিয়নে ঠাকুর হালালীয়া নামে একটি গ্রামের নামকরন করা হয়। সবাই্ গ্রামটিকে ঠাকুর হালালীয়া নামেই জানে। বানাইল গ্রমটি ইউনিয়নের মধ্যবর্তি গ্রাম থাকায়  নাকিবানাইল ইউনিয়ন হিসাবে  নামকরণ করা হয়।বানাইল ইউনিয়নএর রাস্তা ঘাট ততটা ভাল না থাকায় ঐসময়েনৌকাই  ছিলসবচেয়ে বেশি  যোগাযোগ স্থাপনকারী বাহন।

তথ্যসূত্র: নিজস্ব প্রতিবেদন